বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
কবি মানিক বৈরাগীর সাথে পরিচয় হয়েছিল আজকে থেকে প্রায় পনের বছর আগে। হোটেল পালঙ্কিতে। পালঙ্কির রেস্তোরাঁয় সামান্য চা-আড্ডা হয়েছিল মনে পড়ে। সাথে ছিলেন কবি আলী প্রয়াস। আমি ও আলী প্রয়াস আমরা তখন চট্টগ্রাম ফিরছিলাম। সম্ভবত মানিক ভাই তখন একটা এনজিও করতেন বা এনজিওতে চাকরি করতেন। এইরকম কিছু হবে। কবি হিসেবে মানিক’দা কে চিনি হয়তো তারও পরে।
তখন আলী ভাইয়ের কাছেই শুনেছি—আজকের কবি মানিক বৈরাগী (তখন সাইফুদ্দিন মানিক) একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। খেলাঘর আসর করতেন। সেই সময় নব্বইয়ের উত্তাল স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সম্পৃক্ততা বাড়ে মানিক’দার। এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর উপর সেই সময় ছাত্র শিবির বর্বরোচিত হামলা করে। পায়ের রগ কেটে দেয়। বিভিন্ন হামলা-মামলা করে জর্জরিত করে ফেলে একজন কবির হৃদয়। একজন উঠতি রাজনীতিকের হৃদয়! সেই হামলার পর একটা বিভীষিকাময় জীবন যাপনের ফলে বোধহয় মানিক বৈরাগীর আর রাজনীতি করা হয়ে ওঠেনি, হয়ে গেলেন আপাদমস্তক কবি। সেই আঘাতের অনুরণন এখনো শরীরে বয়ে বেড়ান তিনি। মাঝেমধ্যেই শারীরিক অসুস্থতায় ঘাবড়ে পড়েন। সর্বোপরি ভালো নেই এই কবি।
অথচ এখনো কক্সবাজারের বিভিন্ন আন্দোলনে, পরিবেশবাদি কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় তাঁকে।
সদা হাস্যমুখর, সদা আন্তরিক, বন্ধুবৎসল, স্মার্ট কখনো-বা তীব্র রাগী এই কবি আজ পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করলো। আমি এই কবির একশো বছর আয়ু কামনা করি। সাথে সুস্বাস্থ্য ও আরও কাব্যময় হয়ে উঠুক কবি মানিক বৈরাগীর জীবন সেই প্রার্থনা করি। নান্দনিকতার হাত আপনার আরও প্রসারিত হোক কবিতায়-গানে-আন্দোলনে। আপনি আরও অন্তত পঞ্চাশ বছর বাঁচুন প্রিয় মানিক’দা। শুভকামনা রইল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply